প্রশ্ন : আমি মাঝে মাঝে কল্পনার রাজ্যে কিছু শিরিক বিষয় বা আল্লাহর সঙ্গে অংশীদারের পাপে জড়িয়ে পড়ি। পরে মনে মনে খুবই অনুতপ্ত হই এবং কিংকর্তব্য বিমূঢ় হয়ে পড়ি। এ থেকে বাঁচার উপায় কী?
উত্তর : কখনো কখনো শয়তান মানুষকে শিরিকের বা আল্লাহর সঙ্গে অংশীদারের কল্পনায় ডুবিয়ে দেয়। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, নবি কারিম (সা.) এরশাদ করেন, শয়তান বলে, এটা কে সৃষ্টি করেছে? অতঃপর তাকে কে সৃষ্টি করেছে? এমনকি বলে, তোমাদের প্রভুকে কে সৃষ্টি করেছে?
আল্লাহর রাসূল (সা.) এরূপ কল্পনা মনে এলে তা থেকে উত্তরণের পথ বলে দিয়েছেন। তা হচ্ছে, ‘আউজুবিল্লাহি মিনাশ শায়তানির রাজিম’। এটা পড়া এবং শিরিকের কল্পনা থেকে নিজেকে বিরত রাখার চেষ্টা করা। এটা সবার জন্যই শিরকের কল্পনা থেকে বাঁচার ওষুধ।
বিশেষভাবে যখনই মনের মাঝে কোনো কুফরি ও শিরিকের কথা আসবে আউজুবিল্লাহ পড়ব। নিজেকে সব সময় এ ভ্রান্ত কল্পনা থেকে দূরে রাখব। শয়তানি কুমন্ত্রণার দিকে মনোযোগী হব না। এ ছাড়া সব সময় পবিত্র অবস্থায় থাকব এবং নামাজ গুরুত্বসহকারে পড়ব।
এটা পরম সত্য যারা নামাজের গুরুত্ব দেয় না, তারা পবিত্রতার প্রতি মনোযোগী কম হয়। মনে রাখবেন, শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্রু। নাপাকি অবস্থায় থাকা মানুষদের বেশি বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে শয়তান। তাই সব সময় পবিত্র থাকার চেষ্টা করব।
তথ্যসূত্র : আল কুরআন, সূরা বাকারা, আয়াত নং-২০৮, বুখারি শরিফ, হাদিস নং-৩২৭৬, কিতাবুল ফাতাওয়া, খণ্ড-১, পৃষ্ঠা-২৭৬।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।